সুস্থ থাকার ১৫টি উপায় জেনেন নিন

স্বাস্থ্য সকল সুখের মূল। শরীর ঠিক তো সব ঠিক। একটি সুস্থ ও সুন্দর জীবন যে কারও প্রতিদিনের সব কাজে প্রভাব ফেলে। স্বাস্থ্য ঠিক নেই তো সবকিছু এলোমেলো। কিন্তু শরীর তো আর আপনাআপনি ভালো থাকবে না, নিয়মিত সারা দিনের কর্মব্যস্ততা শরীরকে ক্লান্ত করে তুলতেই পারে। তাই দেহকে সুস্থ, সবল আর কর্মক্ষম রাখতে অবশ্যই মেনে চলতে হবে স্বাস্থ্যবিধি।

শরীরকে সুস্থ ও সবল রাখে এমন কিছু স্বাস্থ্য টিকা :
১.    প্রতিদিন আপনি ন্যূনতম ৬ ঘণ্টা ঘুমানোর অভ্যাস করুন। কারণ ৬ ঘণ্টা ঘুমানো একজন সাধারণ মানুষের জন্য জরুরি।
২. 
   রাতে একটু আগে ঘুমাতে গেলেও ভোরে ঘুম থেকে ওঠার চেষ্টা করুন। প্রথমে কষ্ট হলেও এটাকে ধীরে ধীরে অভ্যাসে পরিণত করুন।
৩. 
   প্রতিদিন কমপক্ষে আধাঘণ্টা শারীরিক ব্যায়াম করুন। তবে ব্যায়াম শুরুর আগে অবশ্যই ওয়ার্মআপ করে নিতে হবে।
৪.
    বিশেষ কারণে প্রতিদিন সকালে শরীরচর্চা সম্ভব না হলে প্রতিদিন বিকেলে হাঁটার অভ্যাস করতে পারেন।
৫. 
   ইদানীং স্বাস্থ্যসচেতন অনেক নারী-পুরুষকে জিমে যেতে দেখা যায়। আপনি যেতে পারেন সামর্থ্যবান হলে। তবে জিমে যন্ত্রপাতি ব্যবহারে প্রশিক্ষকের পরামর্শ মেনে চলা উচিত।
৬. 
   চেষ্টা করুন সব ধরনের ফাস্টফুড ও তৈলাক্ত খাবার থেকে বিরত থাকতে। কারণ, এগুলো আপনার স্বাস্থ্য ঝুঁকি বাড়াবে।
৭.  
  শর্করাজাতীয় খাবার কখনো বেশি পরিমাণে খাবেন না।
৮. 
   সকালের খাবারের তালিকায় রাখুন রুটি এবং সবজি। তবে সঙ্গে ফল থাকলেও সমস্যা নেই।
৯.  
  শাকসবজি ও ফলমূল বেশি বেশি খাবেন। সপ্তাহে দুদিনের বেশি গোশত না খাওয়াটাই স্বাস্থ্যসম্মত।
১০.
    অনেকে কোমল পানীয় পান করতে খুব পছন্দ করেন। এতে প্রচুর ফ্যাট থাকে। তাই কোমল পানীয় বেশি খাওয়া উচিত নয়।
১১. 
   হালকা শারীরিক সমস্যায় ওষুধ বা অকারণে ওষুধ সেবন  থেকে নিজেকে বিরত রাখবেন। প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ওষুধ সেবন করতে হবে।
১২.
    নেশা জাতীয় দ্রব্য (পান, সিগারেটসহ সব ধরনের নেশাদ্রব্য) গ্রহণ করবেন না। এটি আপনার শারীরিক, মানসিক এবং অর্থনৈতিক তিন ধরনের ক্ষতি সাধন করে।
১৩. 
   অফিসের সহকর্মী, পরিবারের সদস্য ও বন্ধুদের সঙ্গে সব সময় হাসিখুশিভাবে সময় কাটান। কোনো সমস্যা বোধ করলে সম্ভব হলে তা কারও সঙ্গে আলোচনা করে হালকা করে নিতে পারেন।
১৪. 
   পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ভালো পরিবেশে থাকুন। নিজের পরিধেয় কাপড় সব সময় পরিষ্কার রাখুন। এতে শরীর-মন দুটোই ভালো থাকে।
১৫.
    রাতে ঘুমানোর আগে এক গ্লাস হালকা গরম দুধ খেয়ে দাঁত ব্রাশ করে নিন।
মনে রাখতে হবে, শরীরটা আপনার। এটাকে দেখাশোনা করার দায়িত্বও আপনার। কথায় আছে সুস্থ দেহে বাস করে সুন্দর মন।

আমাদের মৃত্যুর দিকেই ঠেলে দেয় ডিম!! সিগারেটের মতোই ক্ষতি করে!!

সালাম সবাইকে, আজকে একটি খবর নিয়ে এসেছি যা দেখে অনেকেই দ্বিমত পোষণ করবেন আবার অনেকেই খুব অবাক হয়ে যেতে পারেন। সাধারনত অসুস্থ হওয়ার সাথে সাথেই ডিম ও ভিটামিন খাওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসকেরা ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা। কারণ আপাতদৃষ্টিতে,এটা সবাই জানে, দুর্বল শরীরের জন্য পুষ্টি ঘাটতি হিসেবে কাজ করে এসব খাদ্যসামগ্রী।কিন্তু অবাক হবেন যখন জানবেন শরীরে স্বাভাবিক কর্মচাঞ্চল্য আনতে ভিটামিন অথবা ডিম খেলেও এসব খাদ্য আমাদের মৃত্যুর দিকেই ঠেলে দেয়!
সম্প্রতি জানা অজানার পরিচিত পৃথিবীতে  অবাক হয়ে ওঠার মতো এমনইএক তথ্য দিয়েছেন প্রখ্যাত পুষ্টিবিজ্ঞানী অ্যালান গ্যাবি।একটি আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থাকে দেয়া সাক্ষাৎকারে খাদ্য ও পুষ্টিবিষয়ক বহুসংখ্যক বইয়ের প্রণেতা অ্যালান জানান, “ডিম শরীরের উপকারি অনেক পুষ্টির উৎস, এটি শরীরে অনেক কোলেস্টেরল যোগান দেয়। কিন্তু প্রাণীদের উপর একটি গবেষণায় প্রমাণ হয়েছে খাদ্য হিসেবে কোলেস্টেরল সরবরাহ করলেও ডিম শরীরে শক্তি যোগায় না। বরং শরীরে ডিম মাদকের মতো কাজ করে। এটি সিগারেটের মতোই ক্ষতিকর!

আবার, অতিরিক্ত ভিটামিন অনেক সময় শরীরের জন্য ক্ষতিকরও। অনেকদিন ধরে ভিটামিন খাওয়ার কারণে তাদের শরীরে কিছু সমস্যা দেখা দিতে পারে। উদ্বেগের কথা হলো, অনেকে মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ, হূদরোগের মতো প্রাণঘাতী রোগের উপশমের জন্যও ভিটামিন ট্যাবলেট খেয়ে থাকেন। যেটা হিতে বিপরীতই হতে পারে।”
অ্যালান গ্যাবি আরও বলেন, `অতিরিক্ত ভিটামিন স্বাস্থ্যের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। শরীরে যে স্বাভাবিক পুষ্টি প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকে সেটা নষ্ট হয়ে যায় অতিরিক্ত ভিটামিন গ্রহণের কারণে। অনেক সময় এর প্রতিক্রিয়া হিসেবে ক্ষুধামন্দা, ডায়রিয়া, মাথাব্যথা, লিভার বড় হওয়া প্রভৃতি উপসর্গে ভুগতে হয়। তাছাড়া গর্ভাবস্থায় অতিরিক্ত ভিটামিন নিলে গর্ভস্থ শিশুর জন্মগত ত্রুটি হতে পারে। অতিরিক্ত ভিটামিন-সি পেট ব্যথা কিংবা ডায়রিয়া বাড়িয়ে দেয় । অতিরিক্ত ভিটামিন-ডি বমি বমি ভাব, তলপেটে ব্যথার সৃষ্টি করতে পারে।
অ্যালান তাঁর গবেষণানুযায়ী পরামর্শ দিয়ে বলেন; যে কোনো শারীরিক প্রয়োজনে হুট করে ভিটামিন গ্রহণ না করে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়াটা হবে বুদ্ধিমানের কাজ।