নিরাপদ পানীয় চা


গরম চা 

চা প্রাকৃতিক ও সম্পূর্ণ নিরাপদ পানীয়। এতে প্রচুর ঔষুধি গুণাগুণসহ ভিটামিন ও খনিজ লবণ আছে। নেই ফ্যাট, ক্যালরি কিংবা সোডিয়াম। চায়ের রোগ প্রতিরোধকারী অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট মানবদেহের জন্য দারুণ কার্যকর।
*    চায়ে ক্যাফিন থাকার কারণে দেহের অবসন্নতা ও ক্লান্তি দূর করে। ঘুম ঘুম ভাব দূর করে দেহ-মনকে সতেজ ও প্রফুল্ল রাখে। চা কর্মস্পৃহা, চিন্তাশক্তি ও স্মরণশক্তি বৃদ্ধি করে।
*    চায়ে টেনিন থাকার কারণে দেহে ভিটামিন সি ধারণ ও সংরক্ষণ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। ফলে ত্বক ও চুলের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায়।
*    চায়ের পলিফিনল ও থিয়াফ্লুবিন তাকার কারণে ফ্লু ভাইরাস নিস্ক্রিয় হয়ে যায়। ফলে সর্দি, কশি ও ঠান্ডাজনিত রোগের উপশম ও প্রতিরোধ হয।
*    চায়ের থিয়ারুবিন ও যেকোনো ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস প্রতিরোধে কার্যকর। চা দেহের যেকোনো ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাস জীবাণু ধ্বংসেও ভূমিকা রাখে।
*    চায়ের পলিফিনল বিশেষ করে কেটচিনস, ফ্লেভানয়েডস, ফ্লেভানলস ও ক্যাফিন অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট উপস্থিতির ফলে নিয়মিত চা পানে রক্তে ক্ষতিকারক এলডিএল কোলষ্টেরল কমে আসে। ফলে রক্তের জামাট বাঁধা প্রতিরোধ করে, হৃতপিন্ড ও ধমনিতে স্বাভাবিক রক্ত চলাচলে সহায়তা করে রক্তের উচ্চ চাপ নিয়ন্ত্রণ করে এবং হৃতপিনডের ক্রিয়া সচল করে হৃদরোগ ও স্ট্রোক প্রতিরোধ করে।
*    চা দেহের ভাইরাল ডিজিজ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। ফলে রোগ সংক্রমণ বা ইনফেকশন হতে দেহকে রক্ষা করে।
*    চায়ে ফ্লোরাইড থাকায় দাঁতের ক্ষয় রোধ করে,দাঁতকে করে শক্ত, দাঁতের প্লাক ফরমেশন প্রতিরোধ করে এবং মাড়িকে শক্ত করতে কার্যকর ভুমিকা পালন করে।
*    নিয়মিত চা পান চর্মের টিউমার, লিভার, ফুসফুস ও প্যানক্রিয়াসের টিউমার গঠন প্রতিরোধক হিসেবে কার্যকর।
*    মেদবহুল শরীরের মেদ কমাতে সহয়তা করে চা।
*    যেকোনো প্রকার বাত প্রতিরোধ ও বাতের ব্যাথা প্রশমন করে।
*    মাথাব্যথা, চোখের ব্যথা ও সন্ধিস্থলের ব্যথা প্রশমন করে।
*    বহুমূত্র রোগীদের গ্লুকোজ টলারেন্স ক্ষমতা বাড়ায় চা।
*    চা এনজাইমকে সক্রিয় করে মেটাবোলিজম (বিপাক) প্রক্রিয়ায় সহায়তা করে।
*    চায়ে বিদ্যমান বিভিন্ন খনিজ উপাদান, যেমন ম্যাঙ্গানিজ , পটাশিয়াম, জিংক ইত্যাদি শিশুদের হাড় বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।
*    চায়ে ১৫ টির ও বেশি অ্যামাইনো এসিড আছে। ক্রারোটিন ও থায়ামিন দেহের শক্তি জোগায়।
*    অক্সিজেন মানবদেহের জন্য অত্রাবশ্যক। অক্সিজেন ছাড়া আমরা বাঁচতে পারি না। একসময় এই অক্সিজেন অণুগুলো ভেঙে যায়। তখন এদের ফ্রি-রিডিকেল বরা হয়। এসব ফ্রি-রিডিকেল মানবদেহে নতুন কোষগঠনে বাধা প্রদান করে এবং পুরোনো কোষকে ধ্বংস করে মানবদেহে ক্যানসার সৃষ্টি করে। চায়ের পলিফিনলের অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য থাকায় ভিটামিন ও খনিজের সঙ্গে যুক্ত হয়ে মানবদেহকে ক্যানসার প্রতিরোধ সহায়তা করে। পুলিফিনল ব্রেষ্ট, মলাশয়, প্রোস্টেট ও মুখের ক্যানসার  প্রতিরোধে বিশেষভাবে কার্যকর।
*    মানুয়ের বার্ধক্যজনিত কারণে যেসব রোগ হয় যেমন চোখে ছানি পড়া বা চামড়া কুঁচকানো ইত্যাদি প্রতিরোধ করে চা মানবদেহে দেরিতে বার্ধক্য আনয়ন করে।
*    চা মানুষের জীবনীশক্তি বৃদ্ধি করে মানুষকে দীর্ঘদিন বেঁচে থাকতে সহায়তা করে।
*    চায়ের ফ্লেভানয়েডস সূর্যালোকের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে দেহ রক্ষা করে। তবে অতিরিক্ত চা পান ও খালি পেচে চা পান করলে গ্যাষ্ট্রিক -আলসার হওয়ার আশঙ্কা থেকে যায়। 

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন