এই শীতে আপনিও ভালো থাকুন !!!


শীত এবার জাঁকিয়ে এসেছে। ঘড়ির কাঁটার সঙ্গে সকাল গড়িয়ে সন্ধ্যা নামে, কিন্তু সূর্যের আলো এসে পৌঁছায় না আমাদের এখানে।এই গুমোট আবহাওয়ায় শেষ  হয় এক একটা কর্মব্যস্ত দিন। দিনের শেষে মানুষ যখন ঘরে ফেরে তখন ভর করে রাজ্যের ক্লান্তি।আর এই শীতে ক্লান্তিটুকু যদি ঝেড়ে ফেলা যায়, তাহলে শীতকালটাই হতে পারে ভারি সুখের। কেমন করে শীতে নিজেকে চাঙা রাখা যায়, তার জন্য জেনে নিন অল্প কিছু তথ্য...........


আদার আছে গুন

ঠান্ডায় যখন শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ভেঙে পড়ার জোগাড়, তখন ডাক্তার বাড়িকে এগিয়ে ঢুঁ মারতে পারেন চায়ের দোকানে। দোকানির কাছে চেয়ে নিন আদার চা।আর চায়ে অরুচি থাকলে মুখে পুরে নিন এক টুকরো আদা।আদা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা রাড়িয়ে শরীর সুস্থ রাখে।এ ছাড়া আদা ঠান্ডাজনিত মাথাব্যাথা ও পরিপাকেও ভূমিকা রাখে।


তরল খেতে হবে

শীতকালে ঠান্ডার জীবাণুগুলো দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে একজন থেকে আরেক জনে।সংক্রমনের খানিক বাদেই শুরু হয় গলাব্যাথা, কাশি, বন্ধ হয় নাক।এ সময়ে উদ্বিগ্ন না হয়ে উষ্ণ তরল খাবার খেতে হবে বেশি করে। উষ্ণ তরল খাবারগুলো এসব উপসর্গের বিরুদ্ধে খুব ভালো।

চিনি কম

অতিরিক্ত চিনি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমিয়ে দেয়। শীতের রোগগুলো এ সময়টায় অপেক্ষাকৃত দুর্বল বিভিন্ন রোগকেই খুজে বেড়ায়। তাই শীত মৌসুমে রোগ প্রতিরোধব্যবস্থা সবল রাখতে বাড়তে চিনিকে না বলুন।

নারেকেল তেল



উচ্চমাত্রার প্রোটিনে সমৃদ্ধ নারিকেল তেল।মাত্র এক চামচ নারকেল তেলেই থাকে ১১৭ গ্রাম ক্যালরি,১৩ গ্রাম ফ্যাট। নারকেল তেলও শরীরের প্রতিরোধব্যবস্থাকে চাঙা রাখে আর নারকেল তেলে আছে ফার্মোজেনিক বৈশিষ্ট্য, যা শরীরে তাপও উৎপন্ন করে।







ফলে সমাধান

এখন কত শত রঙের স্বাদের ফলে ভরে গেছে বাজার । ফল খাওয়া যাবে ইচ্ছেমতো যত খুশি। এগুলো শরীরের পুষ্টি চাহিদা মেটায়।আবার রোগ প্রতিরোধেও অনন্য। এ সময়টায় নিযম করে খেতে পারেন কমলা। কমলায় আছে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, যা ঠান্ডা প্রতিরোধের এক বড় অস্ত্র।

মহৌষধ কালিজিরা


মহৌষধ কালিজিরা


 ভীষণ উপকার জিনিস কালিজিরা। এটাকে খাবার না বলে পথ্য বলাই ভালো। এখন প্রচন্ড গরম। এই মৌসুমে গরম ও ঠান্ডাজনিত কারণে অনেকের জ্বর হচ্ছে। জ্বর, কফ, গায়ের ব্যথা দূর করার জন্য কালিজিরা যথেষ্ট উপকারী বন্ধু। এতে রয়েছে ক্ষুধা বাড়ানোর উপাদান। পেটের যাবতীয় রোগ-জীবাণু ও গ্যাস দূর করে ক্ষুধা বাড়ায়। যারা মোটা হতে চান, তাদের জন্য কালিজিরা যথাযোগ্য পথ্য। আবার যাদের শরীরে পানি জমে হাত-পা ফুলে যাওয়ার সমস্যা রয়েছে, তাদের পানি জমতে বাধা দেয়। কালিজিরা শরীরের জন্য খুব জরুরি। সন্তান প্রসবের পর কাঁচা কালিজিরা পিষে  খেলে  শিশু দুধ খেতে পাবে বেশি পরিমাণে। কালিজিরায় রয়েছে অ্যান্টিমাইক্রোরিয়াল এজেন্ট, অর্থাৎ শরীরের রোগ-জীবণু ধ্বংসকারী উপাদান। এই উপাদানের জন্য শরীরে সহজে ঘা, ফোড়া, সংক্রামক রোগ (ছোঁয়াচে রোগ) হয না। আমাদের মেধার বিকাশের জন্য কাজ করে দ্বিগুন হারে। কালিজিরা নিজেই একটি অ্যান্টিবায়েটিক বা অ্যান্টিসেপটিক। দাঁতে ব্যথা হলে কুসুম গরম পানিতে কালিজিরা দিয়ে কুলি করলে ব্যথা কমে; জিহ্বা, তালু, দাঁতের মাড়ির জীবাণু মরে। খুব বেশি কালিজিরা খেলে হিতে বিপরীত হবে। আর যারা কালিজিরা হজম করতে পারেন না, তাঁরা খাবেন না। কালিজিরা কৃমি দূর করার জন্য কাজ করে। তারুণ্য ধরে রাখে দূর্ঘকাল। আমাদের কাজ করার শক্তিকে দ্বিগুন বাড়িয়ে দেয়। দেহের কাটা-ছেঁড়া শুকানোর জন্যও কাজ করে। তাই প্রতিদিন অল্প করে ভাত বা রুটির সঙ্গে খেতে পারেন কালিজিরা।

ফার্ষ্টএইড কিট


ফার্ষ্টএইড কিট

অ্যাকসিডেন্ট হঠাৎ করেই ঘটে। হাত-পায়ের এখানে-সেখানে কেটে যাওয়া, শররের কোনো অংশ পুড়ে যাওয়া, হঠাৎ করে জ্বর, মাথা ব্যথা, বুক ব্যথা ইত্যাদি ছোটখাটো বিপদ যখন-তখন ঘটতে পারে। এ বিপদে আপনার পরম বন্ধুর কাজ করবে একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ ফার্ষ্টএইড কিট। একটি ফার্ষ্টএইড কিট যদি সবসময় আপনার বাড়িতে, আপনার অফিসে এবং ভ্রমণকালে আপনার ব্যাগের মধ্যে থাকে তাহলে ছোটখাটো বিপদে অন্তত আপনার মাথা গরম হবে না।
আপনার ফার্ষ্টএইড কিট কী দিয়ে সাজাবেন?
একটা ছোট বাক্সের মধ্যে
*      এক বোতল স্যাভলন, ১টি থার্মোমিটার
*      জীবণুমুক্ত ২ ইঞ্চি বাই ২ ইঞ্চি ভাঁজ করা গজ, পরিষ্কার সার্জিক্যাল তুলা
*      একটি এন্টিসেপটিক মলম, যেমন-জেনটোসেপ, বেটাডিন।
*      বিভিন্ন মাপের রোলার ব্যান্ডেজ,লিউকোপ্লাষ্ট বা মাইক্রোপোরের রোল
*      একটা ছোট কাঁচি, কিছু সেফটিপিন, ছোট সাইজের লিউকোপ্লাষ্ট
*      ওরাল স্যালাইন ৫ প্যাকেট
*      প্যারাসিটামল ট্যাবলেট ১০টি এবং ডাইক্লোফেন সাপোজিটরি ৫টা
*      অ্যান্টাসিড ট্যাবলেট ১০ টা
*      এনজিসড (গ্লিসারিন ট্রাই নাইট্রেট) ট্যাবলেট ৫ টা
*      পেটের অসুখের জন্য মেট্রোনিডাজল জাতীয় ওষুধ, যেমন-ফ্ল্যাজিল ৪০০ মি.গ্রা. ও ইমোটিল ক্যাপসুল
*      ছোট এক প্যাকেট গ্লুকোজ
*      অ্যাভোমিন ট্যাবলেট, ষ্টিমোটিল ট্যাবলেট, বিউটাপ্যান ট্যাবলেট ১ পাতা করে।
*      এ ছাড়া কোনো অসুস্থতার কারণে নিয়মিত খেতে হচ্ছে, এ রকম ওষুধও বাক্সে রাখবেন।
*      রক্তচাপ মাপার যন্ত্র ও ষ্টেথোস্কোপ।

পান-সুপারি







পান-সুপারি একটি ঐতিহ্যবাহী খাবার। সেই পুরোনো আমল থেকেই চলে আসছে পান-সুপারির রীতি। পান-সুপারি শরীরের জন্য উপকার হলেও পানের সঙে চুন, জর্দা ও খয়ের দাঁতের জন্য ভীষণ ক্ষতিকর। স্থূলকায় ব্যক্তিদের অতিরিক্ত ক্ষুধা দূর করার জন্য কাজ করে পানপাতা। পান-সুপারি উভয়েই মাথাব্যথা (বিশেষত সায়নোসাইটিস, মাইগ্রেনের ব্যথা, ঠান্ডাজনিত ব্যথা) ভালো করে। মুখের লালা খাবারের সঙ্গে মিশে খাবার হজম করতে সাহায্য করে। চুন, জর্দা, খয়েরে ক্ষতির পরিমাণই বেশি। পানের সঙ্গে এলাচ, লবঙ্গ, সুপারি, মৌরি, গরম মসলা ও ধনিয়া স্বাস্থ্যের জন্য ভালো । সন্তান প্রসবের পর জননতন্ত্রের জীবাণু দূর করার জন্য কুসুম গরম পানিতে পানপাতা ভিজিয়ে সেই পানি ব্যবহার করলে কাটা অংশগুলো দ্রুত শুকায় এবং ব্যথা দূর হয। পানের মতো সুপারিতেও রয়েছে অ্যালকালয়েড অ্যারিকোলিন নামের উপকরণ, যা লালা তৈরিতে সাহায্য করে। লালা এক ধরনের পাচক রস। পাচক রস খাবার দ্রুত হজম করে, মুখের জবাণু ধ্বংস করে। পান-সুপারি বা পানপাতা চিবোনোর পর খেয়াল রাখতে হবে, যেন দাঁতের ফাঁকে জমে না থাকে। যেকোনো খাবার দাঁতের  ফাঁকে জমে, পচে ডেন্টাল ক্যারিজ (দাঁতের ক্ষয়জনিত বা ইনফেকশনজনিত অসুখ) রি করে। অতিরিক্ত পরিমাণে পান, চুন, জর্দা, খয়ের ও তামাকপাতা খেলে মুখের নানা অসুখ, এমনকি ক্যানসারও হতে পারে। হবে উপকারের আশায় পান বেশি খেলে ফুসফুস ও পাকস্থলীর ক্ষতি হয়। 

মেথি


ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য মেথি

মেথিকে মসলা, খাবার, পথ্য-তিনটাই বলা চলে। মেথির স্বাদ তিতা ধরনের। এতে রয়েছে রক্তের চিনির মাত্রা কমানোর বিস্ময়কর শক্তি। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে মেথি চিবিয়ে খেলে বা এক গ্লাস পানিতে মেথি ভিজিয়ে রেখে সেই পানি খেলে শরীরের রোগ-জীবণু মরে, বিশেষত কৃমি মরে, রক্তের চিনির মাত্রা কমে। রক্তে ক্ষতিকর কোলেষ্টেরল বা চর্বির মাত্রা কমে যায়। এই গরমে ত্বকে যে ঘা, ফোড়া, গরমজনিত ত্বকের অসুখ হয়, এই অসুখগুলো দূর করে মেথি।বার্ধক্যকে দূরে ঠেলে দিয়ে তারুণ্যকে দীর্ঘস্থায়ী করতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে মেথি। গবেষণা করে দেখা গেছে, যে ডায়াবেটিক রোগীরা নিয়মিত মেথি খান, তাঁদের ডায়াবেটিসজনিত অসুখগুলো কম হয় এবং ষ্ট্রোক হওয়ার প্রবণতা তুলনামূলকভাবে কম । ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য মেথি শ্রেষ্ঠ পথ্য।
যাদের ডায়াবেটিস নেই মেথি তাদের জন্যও জরুরি। মাতৃদুগ্ধ বৃদ্ধির জন্য কালো জিরার মতো মেথি পিষে খাওয়াটাও যথেষ্ট উপকার। তবে খেয়াল রাখতে হবে, মেথি ভেজে পিষলে পুষ্টি সব নষ্ট হয়ে যাবে। রৌদ্রে শুকিয়ে নিয়ে ভাজলে খেতে মচমচে লাগব । মেথি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে, শরীরকে রাখে সতেজ। রক্তের উপাদানগুলোকে করে কর্মক্ষম। ফলে মানুষের কর্মোদ্দীপনাও বৃদ্ধি পায়। মৌসুমি রোগগুলোর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে। নানাবিধ গুণের জন্যই মেথি হোক আপনার পরিবারের সদস্য। 

সন্তান ভূমিষ্ঠের তারিখ


জেনে নিন সন্তান ভূমিষ্ঠের সম্ভাব্য তারিখ
গর্ভবতী মহিলাদের অনেকেই হয়তো জানেন না তাদের সন্তান জন্ম নেওয়ার সম্ভাব্য তারিখ। সন্তান ভূমিষ্ঠ হওয়ার তারিখ জেনে রাখার একটা গুরুত্ব রয়েছে। সন্তান জন্ম নেওয়ার সম্ভাব্য তারিখকে ঘিরেই নিতে হবে সে প্রস্তুতি। ইচ্ছা করলেই জানা সম্ভব সন্তান ভুমিষ্টের সম্ভাব্য তারিখ। একটা সহজ হিসাবের মাধ্যমেই তারিখটি বের করা যায়। হিসাবের শুরুতেই গর্ভবতী হওয়ার পর শেষ মাসিকের প্রথম তারিখটি জেনে নিতে হবে। অর্থাৎ কোন মাসিকের  পর আর মাসিক হয়নি। শেষবারের মতো যে মাসিকটি হওয়ার পর আপনি গর্ভবতী হয়েছেন সেই মাসিকের প্রথম তারিখটি জানতে হবে। এবার সেই তারিখটি থেকে পরের ৯ মাস গণনা করুন। এবার তার সঙ্গে আরও ৭ দিন যোগ করুন। এবার যে তারিখটি আপনি পাবেন সেটাই হচ্ছে সন্তান জন্ম নেওয়ার সম্ভাব্য তারিখ। সন্তান ভূমিষ্টের  সম্ভাব্য তারিখ=গত মাসিকের প্রথম তারিখ+৯মাস+৭দিন।
বিষয়টিকে আরও সহজ করে ছক আকারে প্রকাশ করে দেওয়া হল। ছকের মধ্যে আড়াআড়িভাবে ১২টি ঘর রয়েছে। প্রত্যেকটি ঘরের মধ্যে ওপরে ও নিচে দুটি মাসের তারিখ উল্লেখ রয়েছে। ওপরে মাসের তারিখ থেকে শেষ মাসিকের প্রথম তারিখটি মিলিয়ে নিতে হবে। এবার লক্ষ করুন ওই তারিখটির সোজা নিচে নিচের লাইনের কোন তারিখটি রয়েছে। বামে ও ডানে তাকিয়ে ঠিক করে নিন তারিখটি কোন মাসের। এবার যে তারিখটি আপনি পেলেন সেটিই হচ্ছে সন্তান জম্ম নেওয়ার সম্ভাব্য তারিখ। ছকের মধ্যে লক্ষ করুন। ধরুন কারও শেষ মাসিকের প্রথম দিনটি হচ্ছে ১ জানুয়ারি ২০০০। ১ জানুয়ারীর সোজা নিচের তারিখটি ৮ অক্টোবর । তাহলে সন্তান ভূমিষ্ঠের সম্ভাব্য তারিখ হচ্ছে ৮ অক্টোবর।
সন্তান ভূমিষ্ঠের সম্ভাব্য তারিখ বের করার ছক
জানুয়ারী ০১ ০২ ০৩ ০৪ ০৫ ০৬ ০৭ ০৮ ০৯ ১০ ১১ ১২ ১৩ ১৪ ১৫ ১৬ ১৭ ১৮ ১৯ ২০ ২১ ২২ ২৩ ২৪ ২৫ ২৬ ২৭ ২৮ ২৯ ৩০ ৩১      জানুয়ারী
অক্টোবর ০৮ ০৯ ১০ ১১ ১২ ১৩ ১৪ ১৫ ১৬ ১৭ ১৮ ১৯ ২০ ২১ ২২ ২৩ ২৪ ২৫ ২৬ ২৭ ২৮ ২৯ ৩০ ৩১ ০১ ০২ ০৩ ০৪ ০৫ ০৬ ০৭       নভেম্বর
ফেব্রুয়ারি ০১ ০২ ০৩ ০৪ ০৫ ০৬ ০৭ ০৮ ০৯ ১০ ১১ ১২ ১৩ ১৪ ১৫ ১৬ ১৭ ১৮ ১৯ ২০ ২১ ২২ ২৩ ২৪ ২৫ ২৬ ২৭ ২৮                   ফেব্রুয়ারি
নভেম্বর   ০৮ ০৯ ১০ ১১ ১২ ১৩ ১৪ ১৫ ১৬ ১৭ ১৮ ১৯ ২০ ২১ ২২ ২৩ ২৪ ২৫ ২৬ ২৭ ২৮ ২৯ ৩০ ০১ ০২ ০৩ ০৪ ০৫                    ডিসেম্বর
মার্চ       ০১ ০২ ০৩ ০৪ ০৫ ০৬ ০৭ ০৮ ০৯ ১০ ১১ ১২ ১৩ ১৪ ১৫ ১৬ ১৭ ১৮ ১৯ ২০ ২১ ২২ ২৩ ২৪ ২৫ ২৬ ২৭ ২৮ ২৯ ৩০ ৩১      মার্চ
ডিসেম্বর  ০৬ ০৭ ০৮ ০৯ ১০ ১১ ১২ ১৩ ১৪ ১৫ ১৬ ১৭ ১৮ ১৯ ২০ ২১ ২২ ২৩ ২৪ ২৫ ২৬ ২৭ ২৮ ২৯ ৩০ ৩১ ০১ ০২ ০৩ ০৪ ০৫      জানুয়ারী
এপ্রিল    ০১ ০২ ০৩ ০৪ ০৫ ০৬ ০৭ ০৮ ০৯ ১০ ১১ ১২ ১৩ ১৪ ১৫ ১৬ ১৭ ১৮ ১৯ ২০ ২১ ২২ ২৩ ২৪ ২৫ ২৬ ২৭ ২৮ ২৯ ৩০           এপ্রিল
জানুয়ারী ০৬ ০৭ ০৮ ০৯ ১০ ১১ ১২ ১৩ ১৪ ১৫ ১৬ ১৭ ১৮ ১৯ ২০ ২১ ২২ ২৩ ২৪ ২৫ ২৬ ২৭ ২৮ ২৯ ৩০ ৩১ ০১ ০২ ০৩ ০৪          ফেব্রুয়ারী
মে        ০১ ০২ ০৩ ০৪ ০৫ ০৬ ০৭ ০৮ ০৯ ১০ ১১ ১২ ১৩ ১৪ ১৫ ১৬ ১৭ ১৮ ১৯ ২০ ২১ ২২ ২৩ ২৪ ২৫ ২৬ ২৭ ২৮ ২৯ ৩০ ৩১      মে
ফেব্রুয়ারি ০৫ ০৬ ০৭ ০৮ ০৯ ১০ ১১ ১২ ১৩ ১৪ ১৫ ১৬ ১৭ ১৮ ১৯ ২০ ২১ ২২ ২৩ ২৪ ২৫ ২৬ ২৭ ২৮ ০১ ০২ ০৩ ০৪ ০৫ ০৬ ০৭     মার্চ
জুন      ০১ ০২ ০৩ ০৪ ০৫ ০৬ ০৭ ০৮ ০৯ ১০ ১১ ১২ ১৩ ১৪ ১৫ ১৬ ১৭ ১৮ ১৯ ২০ ২১ ২২ ২৩ ২৪ ২৫ ২৬ ২৭ ২৮ ২৯ ৩০            জুন
মার্চ      ০৮ ০৯ ১০ ১১ ১২ ১৩ ১৪ ১৫ ১৬ ১৭ ১৮ ১৯ ২০ ২১ ২২ ২৩ ২৪ ২৫ ২৬ ২৭ ২৮ ২৯ ৩০ ৩১ ০১ ০২ ০৩ ০৪ ০৫ ০৬           এপ্রিল  
জুলাই   ০১ ০২ ০৩ ০৪ ০৫ ০৬ ০৭ ০৮ ০৯ ১০ ১১ ১২ ১৩ ১৪ ১৫ ১৬ ১৭ ১৮ ১৯ ২০ ২১ ২২ ২৩ ২৪ ২৫ ২৬ ২৭ ২৮ ২৯ ৩০ ৩১       জুলাই
এপ্রিল   ০৭ ০৮ ০৯ ১০ ১১ ১২ ১৩ ১৪ ১৫ ১৬ ১৭ ১৮ ১৯ ২০ ২১ ২২ ২৩ ২৪ ২৫ ২৬ ২৭ ২৮ ২৯ ৩০ ০১ ০২ ০৩ ০৪ ০৫ ০৬ ০৭       মার্চ
আগষ্ট    ০১ ০২ ০৩ ০৪ ০৫ ০৬ ০৭ ০৮ ০৯ ১০ ১১ ১২ ১৩ ১৪ ১৫ ১৬ ১৭ ১৮ ১৯ ২০ ২১ ২২ ২৩ ২৪ ২৫ ২৬ ২৭ ২৮ ২৯ ৩০ ৩১      আগষ্ট
মে        ০৮ ০৯ ১০ ১১ ১২ ১৩ ১৪ ১৫ ১৬ ১৭ ১৮ ১৯ ২০ ২১ ২২ ২৩ ২৪ ২৫ ২৬ ২৭ ২৮ ২৯ ৩০ ৩১ ০১ ০২ ০৩ ০৪ ০৫ ০৬ ০৭      জুন
সেপ্টম্বর ০১ ০২ ০৩ ০৪ ০৫ ০৬ ০৭ ০৮ ০৯ ১০ ১১ ১২ ১৩ ১৪ ১৫ ১৬ ১৭ ১৮ ১৯ ২০ ২১ ২২ ২৩ ২৪ ২৫ ২৬ ২৭ ২৮ ২৯ ৩০           সেপ্টেম্বর
জুন      ০৮ ০৯ ১০ ১১ ১২ ১৩ ১৪ ১৫ ১৬ ১৭ ১৮ ১৯ ২০ ২১ ২২ ২৩ ২৪ ২৫ ২৬ ২৭ ২৮ ২৯ ৩০ ০১ ০২ ০৩ ০৪ ০৫ ০৬ ০৭           জুলাই
অক্টোবর ০২ ০৩ ০৪ ০৫ ০৬ ০৭ ০৮ ০৯ ১০ ১১ ১২ ১৩ ১৪ ১৫ ১৬ ১৭ ১৮ ১৯ ২০ ২১ ২২ ২৩ ২৪ ২৫ ২৬ ২৭ ২৮ ২৯ ৩০ ৩১           অক্টোবর
জুলাই   ০৮ ০৯ ১০ ১১ ১২ ১৩ ১৪ ১৫ ১৬ ১৭ ১৮ ১৯ ২০ ২১ ২২ ২৩ ২৪ ২৫ ২৬ ২৭ ২৮ ২৯ ৩০ ৩১ ০১ ০২ ০৩ ০৪ ০৫ ০৬ ০৭       আগষ্ট
নভেম্বর ০১ ০২ ০৩ ০৪ ০৫ ০৬ ০৭ ০৮ ০৯ ১০ ১১ ১২ ১৩ ১৪ ১৫ ১৬ ১৭ ১৮ ১৯ ২০ ২১ ২২ ২৩ ২৪ ২৫ ২৬ ২৭ ২৮ ২৯ ৩০             নভেম্বর
আগষ্ট  ০৮ ০৯ ১০ ১১ ১২ ১৩ ১৪ ১৫ ১৬ ১৭ ১৮ ১৯ ২০ ২১ ২২ ২৩ ২৪ ২৫ ২৬ ২৭ ২৮ ২৯ ৩০ ৩১ ০১ ০২ ০৩ ০৪ ০৫ ০৬             সেপ্টেম্বর
ডিসেম্বর ০১ ০২ ০৩ ০৪ ০৫ ০৬ ০৭ ০৮ ০৯ ১০ ১১ ১২ ১৩ ১৪ ১৫ ১৬ ১৭ ১৮ ১৯ ২০ ২১ ২২ ২৩ ২৪ ২৫ ২৬ ২৭ ২৮ ২৯ ৩০ ৩১       ডিসেম্বর
সেপ্টেম্বর ০৭ ০৮ ০৯ ১০ ১১ ১২ ১৩ ১৪ ১৫ ১৬ ১৭ ১৮ ১৯ ২০ ২১ ২২ ২৩ ২৪ ২৫ ২৬ ২৭ ২৮ ২৯ ৩০ ০১ ০২ ০৩ ০৪ ০৫ ০৬ ০৭      অক্টোবর
ছকের প্রত্যেকটি ঘরের ওপরের মাসের তারিখগুলো গত ঋতুস্রাবের প্রথম দিনটি গণনার জন্য এবং নিচের মাসের তারিখগুলো সন্তান ভূমিষ্ঠের সম্ভাব্য দিন গণনার জন্য ব্যবহৃত হবে।

নিরাপদ পানীয় চা


গরম চা 

চা প্রাকৃতিক ও সম্পূর্ণ নিরাপদ পানীয়। এতে প্রচুর ঔষুধি গুণাগুণসহ ভিটামিন ও খনিজ লবণ আছে। নেই ফ্যাট, ক্যালরি কিংবা সোডিয়াম। চায়ের রোগ প্রতিরোধকারী অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট মানবদেহের জন্য দারুণ কার্যকর।
*    চায়ে ক্যাফিন থাকার কারণে দেহের অবসন্নতা ও ক্লান্তি দূর করে। ঘুম ঘুম ভাব দূর করে দেহ-মনকে সতেজ ও প্রফুল্ল রাখে। চা কর্মস্পৃহা, চিন্তাশক্তি ও স্মরণশক্তি বৃদ্ধি করে।
*    চায়ে টেনিন থাকার কারণে দেহে ভিটামিন সি ধারণ ও সংরক্ষণ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। ফলে ত্বক ও চুলের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায়।
*    চায়ের পলিফিনল ও থিয়াফ্লুবিন তাকার কারণে ফ্লু ভাইরাস নিস্ক্রিয় হয়ে যায়। ফলে সর্দি, কশি ও ঠান্ডাজনিত রোগের উপশম ও প্রতিরোধ হয।
*    চায়ের থিয়ারুবিন ও যেকোনো ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস প্রতিরোধে কার্যকর। চা দেহের যেকোনো ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাস জীবাণু ধ্বংসেও ভূমিকা রাখে।
*    চায়ের পলিফিনল বিশেষ করে কেটচিনস, ফ্লেভানয়েডস, ফ্লেভানলস ও ক্যাফিন অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট উপস্থিতির ফলে নিয়মিত চা পানে রক্তে ক্ষতিকারক এলডিএল কোলষ্টেরল কমে আসে। ফলে রক্তের জামাট বাঁধা প্রতিরোধ করে, হৃতপিন্ড ও ধমনিতে স্বাভাবিক রক্ত চলাচলে সহায়তা করে রক্তের উচ্চ চাপ নিয়ন্ত্রণ করে এবং হৃতপিনডের ক্রিয়া সচল করে হৃদরোগ ও স্ট্রোক প্রতিরোধ করে।
*    চা দেহের ভাইরাল ডিজিজ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। ফলে রোগ সংক্রমণ বা ইনফেকশন হতে দেহকে রক্ষা করে।
*    চায়ে ফ্লোরাইড থাকায় দাঁতের ক্ষয় রোধ করে,দাঁতকে করে শক্ত, দাঁতের প্লাক ফরমেশন প্রতিরোধ করে এবং মাড়িকে শক্ত করতে কার্যকর ভুমিকা পালন করে।
*    নিয়মিত চা পান চর্মের টিউমার, লিভার, ফুসফুস ও প্যানক্রিয়াসের টিউমার গঠন প্রতিরোধক হিসেবে কার্যকর।
*    মেদবহুল শরীরের মেদ কমাতে সহয়তা করে চা।
*    যেকোনো প্রকার বাত প্রতিরোধ ও বাতের ব্যাথা প্রশমন করে।
*    মাথাব্যথা, চোখের ব্যথা ও সন্ধিস্থলের ব্যথা প্রশমন করে।
*    বহুমূত্র রোগীদের গ্লুকোজ টলারেন্স ক্ষমতা বাড়ায় চা।
*    চা এনজাইমকে সক্রিয় করে মেটাবোলিজম (বিপাক) প্রক্রিয়ায় সহায়তা করে।
*    চায়ে বিদ্যমান বিভিন্ন খনিজ উপাদান, যেমন ম্যাঙ্গানিজ , পটাশিয়াম, জিংক ইত্যাদি শিশুদের হাড় বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।
*    চায়ে ১৫ টির ও বেশি অ্যামাইনো এসিড আছে। ক্রারোটিন ও থায়ামিন দেহের শক্তি জোগায়।
*    অক্সিজেন মানবদেহের জন্য অত্রাবশ্যক। অক্সিজেন ছাড়া আমরা বাঁচতে পারি না। একসময় এই অক্সিজেন অণুগুলো ভেঙে যায়। তখন এদের ফ্রি-রিডিকেল বরা হয়। এসব ফ্রি-রিডিকেল মানবদেহে নতুন কোষগঠনে বাধা প্রদান করে এবং পুরোনো কোষকে ধ্বংস করে মানবদেহে ক্যানসার সৃষ্টি করে। চায়ের পলিফিনলের অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য থাকায় ভিটামিন ও খনিজের সঙ্গে যুক্ত হয়ে মানবদেহকে ক্যানসার প্রতিরোধ সহায়তা করে। পুলিফিনল ব্রেষ্ট, মলাশয়, প্রোস্টেট ও মুখের ক্যানসার  প্রতিরোধে বিশেষভাবে কার্যকর।
*    মানুয়ের বার্ধক্যজনিত কারণে যেসব রোগ হয় যেমন চোখে ছানি পড়া বা চামড়া কুঁচকানো ইত্যাদি প্রতিরোধ করে চা মানবদেহে দেরিতে বার্ধক্য আনয়ন করে।
*    চা মানুষের জীবনীশক্তি বৃদ্ধি করে মানুষকে দীর্ঘদিন বেঁচে থাকতে সহায়তা করে।
*    চায়ের ফ্লেভানয়েডস সূর্যালোকের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে দেহ রক্ষা করে। তবে অতিরিক্ত চা পান ও খালি পেচে চা পান করলে গ্যাষ্ট্রিক -আলসার হওয়ার আশঙ্কা থেকে যায়। 

ব্যায়াম


১০   ১  উপায়ে
 ঘরে বসে ব্যায়াম
শরীর নামের মহাশয়
ব্যায়াম করতে অনেক যন্ত্রপাতির ব্যবহার হয় এখন। চমৎকার এইসব যন্ত্রপাতির দেখা মেলে বিভিন্ন জিমে। কিন্তু জিম তো সবার জন্য নয়। অনেকেই নানা করণে জিমে যেতে পারেন না। কিন্তু তা-ই বলে তো আর ব্যায়াম বাদ দেওয়া ঠিক হবে না। ব্যায়ামের গুরুত্ব অনেক প্রাচীন । অনাদিকাল থেকেই খালি  হাতে অর্থাৎ সরঞ্জামহীন নানা ধরনের ব্যায়াম চালু আছে। খালি হাতের এইসব ব্যায়াম বেশ ফলপ্রসূ। কাজেই ব্যায়ামের সরঞ্জাম নেই-এই অজুহাত এখন আর খাটছে না। ঘরে বসে খালি হাতে যে ১০ টি ব্যায়াম করে শরীরটাকে সুস্থ রাখা সম্ভব সেটাই তুলে ধরা হল।
হাঁটা সবচেয়ে পুরনো ও সর্বজন গ্রহণযোগ্য একটি ব্যায়াম এই হাঁটা। বিভিন্ন রোগে হাঁটাকে ব্যাপকভাবে উৎসাহিত করা হয়েছে। হাঁটলে সারা শরীরের অঙ্গ -প্রত্যঙ্গের ব্যায়াম হয়। সারা শরীর সক্রিয় হয়ে ওঠে। যে কোনো জায়গাতেই হাঁটা সম্ভব। যদি আবহাওয়া ভালো থাকে তাহলে ঘরের বাইরে হাঁটা যেতে পারে। তবে প্রতিকূল পরিবেশ এবং সময়ে ঘরের মধ্যে হাঁটতে বাধা নেই। আপনি নিয়ম করে প্রতিদিন পুরো ঘর হেঁটে কয়েকবার চক্কর দিতে পারেন। ঘরের আশপাশে সিঁড়ি থাকলে,সিঁড়ি বেয়ে কয়েকবার ওঠানামা করতে পারেন। হাঁটলে সবচেয়ে বেশি উপকার হয় পায়ের মাংসপেশির। এতে পায়ের মাংসপেশির  দৃঢ়তা বাড়ে।
লাফনো শিশু-কিশোর, তরুণ কিংবা যুবকদের জন্য খুবই ভালো ব্যায়াম লাফানো । হৃদপিন্ডের জন্য এটি খুবই কার্যকর একটি ব্যায়াম। অন্য যে কোনো ব্যায়াম শুরু করার আগে লাফানো ‘ওয়ার্ম-আপ’ হিসেবে কাজ করে। কোনো কিছু ছাড়াই লাফানো যায়, আবার স্কিপিং করেও লাফানো যায়। স্কিপিং করে লাফানো একটি অতিপরিচিত স্বীকৃত ব্যায়াম। এতে ওজন কমে, মেদ ঝরে, স্ট্যামিনা বা দম বাড়ে।
বুকডন অনেকেরই প্রিয় একটি ব্যায়াম এই বুকডন। তবে অনেকের কাছে বিশেষ করে বয়স্কদের কাছে এটি কষ্টকর ব্যায়াম মনে হতে পারে। মাটিতে উপুড় হয়ে হাত ও পায়ের ওপর ভর করে বুকডন দেওয়াটাই  রীতি। প্রথমদিকে অল্প করে শুরু করে ক্রমান্বয়ে সংখ্যা বাড়াতে হয়। তবে দৈনিক ১০-২০ টা বুকডন দেওয়াই যথেষ্ট। কষ্টকর মনে হলে হাঁটুতে ভর করেও বুকডন দেওয়া যেতে পারে। দাঁড়িয়ে দেয়ালের বিপরীতেও কাজটি করা যায়। হাত-পা ও বুকের মাংসপেশি গঠনে বুকডন একটি কার্যকর ব্যায়াম হিসেবে বিবেচিত।

প্যারেড স্কুলে এটি প্রায়ই করানো হয। তবে ঘরে বসে ছোট-বড় সবাই এটি করতে পারেন। এক জায়গায় দাঁড়িয়ে পা ওঠা-নামার মাধ্যমে এটি করা যায় সহজেই। পায়ের মাংসপেশিকে সক্রিয় করে সেখানে রক্ত সরবরাহ বাড়ানোর মাধ্যমে পায়ের শক্তি বৃদ্ধিতে এটি উপকারী।
শরীর ভাঁজ করা পেটের মাংসপেশিকে দৃঢ় করতে ও পেটের মেদ ঝরাতে এটি একটি অত্যন্ত উপকারী ব্যায়াম। লম্বা করে পা বিছিয়ে বসে কোমর থেকে মাথা পর্যন্ত সামনের দিকে ঝোঁকার সময় ডান হাত দিয়ে বাম পায়ের বুড়ো আঙুল  এবং বাম হাত দিয়ে ডান পায়ের বুড়ো আঙুল স্পর্শ করতে পারলে আরো ভালো । এভাবে দৈনিক ১৫-২০ বার করতে থাকলে তলপেটের মেদ কমে যাবে।
জগিং হার্টের জন্য সব চেয়ে ভালো ব্যায়াম জগিং। জিম জগিং করার জন্য বেশি উপযোগী হলেও ঘরের মধ্যে জগিং করা যায়। গান শুনতে শুনতে কিংবা টিভি দেখতে দেখতে জগিং করা যেতে পারে। জগিং খালি পায়ে করা উচিত নয়। জগিং করার জন্য একজোড়া কেডস দরকার।
আসন করে বসা আসন গেড়ে বসা পা ও নিতম্বের জন্য ভালো ব্যায়াম। বেশিরভাগ যোগব্যায়ামই আসনভিত্তিক । চেয়ার কিংবা বিছানায় বসেও এটি করা যায়। চেয়ারে বসে পা দুটো সামনের দিকে তুলে ধরা যেতে পারে। একই কাজ করা যেতে পারে খাটের প্রান্তে।
হালকা ভারোত্তোলন ঘরে হাতের কাছে যা-ই পাওয়া যায় তা হাতে নিয়ে ভারোত্তোলনের কাজটি করা যেতে পারে। জগ কিংবা ভারি বই হাতের কাছে যা পড়বে তাই নিয়ে কাজটি ঝটপট করে ফেলতে হবে।
নাচ দারুন একটা ব্যায়াম এই নাচ। এ কারণে যারা নাচ করেন তাদের আলাদা করে খুব একটা ব্যায়াম করতে হয না। হার্টের জন্য ভালো এই নাচ। সারা শরীরের ব্যায়াম হয় নাচে। দেহের প্রতিটি অঙ্গপ্রত্যঙ্গের স্পন্দন হয় নাচের মাধ্যমে।
ষ্টেপ এক্সারসাইজ বা পদক্ষেপণে ব্যায়াম ঘরে বসে করার জন্য উপযোগী একটি ব্যায়াম। এটি করার জন্য একটি মাঝারি উচ্চতার টুলের দরকার পড়বে।একবার সেই টুলের ওপর আগে ডান পা ও পরে বাম পা দিয়ে উঠবেন। তারপর আবার বাম পা আগে দিয়ে একইভাবে উঠবেন ও নামবেন। এভাবে বারবার করতে হবে।